০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিরো আলমের বইয়ের ১০ টি চুম্বক অংশ

বিখ্যাত হতে আসিনি, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি” বলে শুরু করেন তিনি। সে যেমনই হোক-সে একজন মানুষ। আমার আপনার চেয়ে সফল একজন মানুষ। তার বইয়ের ১০ টি পয়েন্টস পড়ে দেখুন।

বইয়ে হিরো আলমের ছোটবেলার কথা আছে। তার চানাচুর, সিডি, মিউজিক ভিডিও এর ব্যাবসার নানান গল্প আছে। আছে তার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘটনা। ক্লাস সেভেন পাশ এবং দেখতে অসুন্দর এই মানুষটির অদম্য জেদ আছে, সাহস আছে। যা আমাদের অধিকাংশের ই নেই।
হিরো আলমের বইয়ের ১০টা চুম্বক লাইন নিম্নে দেওয়া হয়েছে।
১। আমি পরিত্যক্ত সন্তান হয়ে চানাচুর বেচে, সিডি, ডিস লাইন, মিউজিক ভিডিও করে ১০-১৫টা মানুষের দায়িত্ব নিতে পারি, আপনি শিক্ষিত হয়ে কিছু পারেন না কেন?

২। আমি সকল বিধবা মা, পরিত্যক্ত নারী ও শিশুদের জন্যে একটা সংস্থা করে যেতে চাই যাতে, আমার মায়ের মতো কারো মায়ের যেন মাইর খেয়ে রাস্তায় বাচ্চা নিয়ে রাত কাটানো না লাগে”।

৩। শিক্ষিতরা যে আমারে নিয়ে মজা করেন, আমার জায়গায় থাকলে তো রিসকা চালায়ে খাইতেন। আমি তো তাও চেহারা খারাপ বলে মিডিয়ায় আইছি, আপনার তো চেহারা মুটামুটি। আপনি তো তাও পারতেন না।

৪। সারটিফিকেট ধারী শিক্ষিত লোক হইলো ভীতু। নিজেরা তো কিছু করবেই না, কেউ করতে দেখলেও গা জ্বলে। এরা যে কি চায় নিজেরাই জানে না।

৫। আমার চেহারাটা নিয়ে আর কি বলবেন? আল্লাহই তো আমারে বানাইছে। আমি তো বানাই নাই। আমি কি করবো? এই চেহারা চেঞ্জ তো করতে পারবো না।

৬। আমি আমার ভক্তগো একবার ধন্যবাদ দিলে সমালোচকগো দুইবার ধন্যবাদ দেই। তারা আমার ভিডিও খিয়াল করে দেখে। ঘুমাতে যাওয়ার আগেও দেখে, উইঠেও দেখে।

৭। জীবনের সব ব্যবসা আমি টাকা দিয়ে করেছি, শুধু নির্বাচন ছাড়া।

৮। “আপনারা শিক্ষিত কাগজে কলমে, মনুষ্যত্বের শিক্ষা শিক্ষিত লোকের মাঝে তেমন একটা নাই।

৯। আমি হিরো আলম আমার ভিডিও দেখে খালি মানুষ হাসবে এই জন্যে কাজ করি। আমার মাইনসের হাসিমুখ দেখতেই ভালো লাগে। এই সব ভাইরাল, সমালোচনা এসবের জন্যে কাজ করি না।

১০। আমি অশিক্ষিত হয়ে লাত্থি উস্টা খেয়েও বেচে আছি, আপনারা শিক্ষিতরা কেন আত্মহত্যা করেন?

এছাড়া বইটিতে রয়েছে অনেক মোটিভেশনাল লেখা। যা পড়লে একটি মানুষকে অনেক দুর এগিয়ে নিবে। ক্যারিয়ারের দিকেও ” দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দিবো” বইটি বিষেষ গুরুত্বপূর্ণ।

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

Get free post? Yes, Accept .

হিরো আলমের বইয়ের ১০ টি চুম্বক অংশ

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

বিখ্যাত হতে আসিনি, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি” বলে শুরু করেন তিনি। সে যেমনই হোক-সে একজন মানুষ। আমার আপনার চেয়ে সফল একজন মানুষ। তার বইয়ের ১০ টি পয়েন্টস পড়ে দেখুন।

বইয়ে হিরো আলমের ছোটবেলার কথা আছে। তার চানাচুর, সিডি, মিউজিক ভিডিও এর ব্যাবসার নানান গল্প আছে। আছে তার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘটনা। ক্লাস সেভেন পাশ এবং দেখতে অসুন্দর এই মানুষটির অদম্য জেদ আছে, সাহস আছে। যা আমাদের অধিকাংশের ই নেই।
হিরো আলমের বইয়ের ১০টা চুম্বক লাইন নিম্নে দেওয়া হয়েছে।
১। আমি পরিত্যক্ত সন্তান হয়ে চানাচুর বেচে, সিডি, ডিস লাইন, মিউজিক ভিডিও করে ১০-১৫টা মানুষের দায়িত্ব নিতে পারি, আপনি শিক্ষিত হয়ে কিছু পারেন না কেন?

২। আমি সকল বিধবা মা, পরিত্যক্ত নারী ও শিশুদের জন্যে একটা সংস্থা করে যেতে চাই যাতে, আমার মায়ের মতো কারো মায়ের যেন মাইর খেয়ে রাস্তায় বাচ্চা নিয়ে রাত কাটানো না লাগে”।

৩। শিক্ষিতরা যে আমারে নিয়ে মজা করেন, আমার জায়গায় থাকলে তো রিসকা চালায়ে খাইতেন। আমি তো তাও চেহারা খারাপ বলে মিডিয়ায় আইছি, আপনার তো চেহারা মুটামুটি। আপনি তো তাও পারতেন না।

৪। সারটিফিকেট ধারী শিক্ষিত লোক হইলো ভীতু। নিজেরা তো কিছু করবেই না, কেউ করতে দেখলেও গা জ্বলে। এরা যে কি চায় নিজেরাই জানে না।

৫। আমার চেহারাটা নিয়ে আর কি বলবেন? আল্লাহই তো আমারে বানাইছে। আমি তো বানাই নাই। আমি কি করবো? এই চেহারা চেঞ্জ তো করতে পারবো না।

৬। আমি আমার ভক্তগো একবার ধন্যবাদ দিলে সমালোচকগো দুইবার ধন্যবাদ দেই। তারা আমার ভিডিও খিয়াল করে দেখে। ঘুমাতে যাওয়ার আগেও দেখে, উইঠেও দেখে।

৭। জীবনের সব ব্যবসা আমি টাকা দিয়ে করেছি, শুধু নির্বাচন ছাড়া।

৮। “আপনারা শিক্ষিত কাগজে কলমে, মনুষ্যত্বের শিক্ষা শিক্ষিত লোকের মাঝে তেমন একটা নাই।

৯। আমি হিরো আলম আমার ভিডিও দেখে খালি মানুষ হাসবে এই জন্যে কাজ করি। আমার মাইনসের হাসিমুখ দেখতেই ভালো লাগে। এই সব ভাইরাল, সমালোচনা এসবের জন্যে কাজ করি না।

১০। আমি অশিক্ষিত হয়ে লাত্থি উস্টা খেয়েও বেচে আছি, আপনারা শিক্ষিতরা কেন আত্মহত্যা করেন?

এছাড়া বইটিতে রয়েছে অনেক মোটিভেশনাল লেখা। যা পড়লে একটি মানুষকে অনেক দুর এগিয়ে নিবে। ক্যারিয়ারের দিকেও ” দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দিবো” বইটি বিষেষ গুরুত্বপূর্ণ।